বর্তমানে অনেক ভালো রেজাল্ট করেও সাধারণ একটা চাকরি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। একারণে দিন দিন বেকারত্বের হার বাড়ছে, এ সমস্যা দিন দিন এতো প্রকট হয়ে উঠছে যে এখন আর মামা খালু দিয়ে কাজ চাকরি পাওয়া যায় না। ভালো একটা চাকরি পেতে হলে মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিতে হয়, তাই যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো তারাই কেবল চাকরি পায়। কিন্তু যাদের ঘুষ দেওয়ার সামর্থ্য নেই কিংবা ঘুষ আদান-প্রদান পাপ মনে করে তাদের জন্য চাকরির বাজারে টিকে থাকা মুশকিল। তবে প্রযুক্তির কল্যাণে এখন আর কেউ পিছিয়ে নেই, এখন সব কিছু সহজ হয়ে পড়েছে। ভালো দক্ষতা থাকলে টাকা আয়ের পথ সহজেই তৈরি করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং এক্ষেত্রে অনেক বড়ো একটি অবদান রাখছে, ফ্রিল্যান্সিং করে এখন যে কেউ স্বাবলম্বী হতে পারে। এজন্য প্রয়োজন ইচ্ছা শক্তি এবং দক্ষতা, এ দুটো থাকলে কোন বিনিয়োগ ছাড়াই আয়ের পথ তৈরি করা যায়। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমি কথা বলব ফ্রিল্যান্সিং কি? কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে হবে এবং ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য অনান্য সকল প্রয়োজনীয় আলোচনা। আপনার যদি ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আগ্রহ থাকে তাহলে পুরো আর্টিকেলটি পড়বেন।
ফ্রিল্যান্সিং কি?
What is freelancing?
ফ্রিল্যান্সিং হলো স্বাধীন পেশা। অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন কাজ যেটা কারো অধীনে থেকে করতে হয় না এবং এখানে একজন ফ্রিল্যান্সার নিজের সেলারী নিজেই নির্ধারণ করতে পারে। আপনি যে কোন জায়গায় যে কোন সময় এটা করতে পারবেন, এর জন্য আপনাকে কোন প্রকার অর্থ ইনভেস্ট করতে হবে না। আপনার শুধু প্রয়োজনীয় দক্ষতা, ইন্টারনেট সংযুক্ত একটি ভালো কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ প্রয়োজন। কারণ এটি একটি অনলাইন ভিত্তিক কাজ, এখানে যারা কাজ করে তাদের বলা হয় ফ্রিল্যান্সার এবং যারা কাজ দেয় তাদের বলা হয় ক্লায়েন্ট বা বায়ার। যার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো করা হয় সেই মাধ্যমগুলোকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এখানে মার্কেটপ্লেস বলতে কাজ করার ওয়েবসাইটগুলোকে বুঝানো হয়েছে। এখানে আপনি ঘন্টা, সপ্তাহ, মাস এবং প্রজেক্ট ভিত্তিক কাজ করতে পারবেন। এজন্য মার্কেটপ্লেস গুলোতে আপনার একটি অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে যার মাধ্যমে বায়ার আপনাকে খুঁজে পাবে এবং কাজের অর্ডার দিবে। বায়ায়ের কাজ সফলভাবে জমা দেওয়ার পর আপনার অ্যাকাউন্টে ডলার জমা হবে, সেই ডলার আপনি ব্যাংক, পেপ্যাল অথবা পেওনিয়ার কার্ড দিয়ে তুলতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি প্রয়োজন?
কাজের দক্ষতা
কোন একজন বিখ্যাত ব্যাক্তি বলেছিলেন, "আমাকে যদি কোন গাছ কাটতে দশ মিনিট সময় দেওয়া হয় তাহলে আমি আট মিনিট কুঠার ধার দেব আর বাকি দুই মিনিটে গাছ কাটবে।" ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি এমনই, ভালো দক্ষতা ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং জগতে সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়, আপনি যদি অল্প দক্ষতা নিয়ে এ ফিল্ডে নামেন তাহলে আপনি কোন কাজ পাবেন না, ফলে ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতি আপনার অনীহা সৃষ্টি হবে আর আপনি হতাশ হয়ে পড়বেন। তাই এ ফ্রিল্যান্সিং এ ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে আপনাকে আগে কাজের দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
ইংরেজিতে চ্যাটিং করার দক্ষতা
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে যে সব লোকেরা বায়ার হয় অর্থাৎ যারা আপনাকে কাজের জন্য হায়ার করবে তাদের অধিকাংশই বিদেশি হয়ে থাকে। তাই তাদের সাথে আপনি বাংলায় যোগাযোগ করতে পারবেন না, তাদের সাথে ভাব বিনিময়ের অন্যতম ভাষা হলো ইংরেজি। আপনি যেন তাদের মেসেজ পড়ে বুঝতে পারেন যে তারা কি বলছে এবং তারাও যেন আপনার মেসেজ পড়ে বুঝতে পারে আপনি কি বলছেন, এজন্য আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে।
ইন্টারনেট সংযুক্ত ভালো কম্পিউটার বা ল্যাপটপ
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোর ওয়েবসাইটে কাজ পেতে হলে আপনার ইন্টারনেট সংযুক্ত ভালো কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ থাকতে হবে। এছাড়াও এসব কাজ বেশিরভাগই ইন্টারনেট কানেকশন অবস্থায় করতে হয়, কাজের সুবিধার্থে আপনার কম্পিউটারটি ভালো মানের হলে কাজের সুবিধা হবে।
ফেসবুকে স্মার্ট হওয়ার উপায়
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো কি কি?
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজের কোন অভাব নেই, আপনি যে কাজ ভালো করতে পারেন অথবা যে কাজ করতে আপনি পছন্দ করেন সেই কাজ করলে এই সেক্টরে উন্নতি করতে পারবেন। এখন প্রশ্ন করতে পারেন এখানে কি কি কাজ পাওয়া যায়? এখানে আমি কিছু কাজ ও তার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরছি আপনার যদি মনে হয়, আপনি এগুলোর কোন একটি জানেন বা করতে পারবেন তাহলে সেই কাজ করলে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়া সহজ হবে। কাজগুলো হলো :
ডিজিটাল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং হলো কোন পণ্য বা সেবার ডিজিটাল ভাবে প্রচারণা চালানো। কাজের জন্য এটি অনেক বড়ো একটি সেক্টর, এর ভেতরে অনেক ধরনের কাজ আছে, আপনি এর যেকোন একটি কাজ শিখেই মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে এই আর্টিকেলে বিশদ ভাবে আলোচনা করা সম্ভব নয়। এর প্রতিটি অংশের জন্য আলাদা আলাদা আর্টিকেল লাগবে, এসব আর্টিকেল আমার এই ব্লগে আপনারা পেয়ে যাবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভেতরে যেসব কাজ আছে সেগুলো হলো।
- এসইও (SEO)
- স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social Media Marketing)
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)
- সিপিএ মার্কেটিং (CPA Marketing)
- কন্টেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing)
- ইমেইল মার্কেটিং (Email Marketing)
আরো অনেক ধরনের কাজ আছে।
ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট
ওয়েব ডিজাইন হলো কোন ওয়েবসাইটের ডিজাইন করা আর ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হলো কোন ওয়েবসাইটের ডেভেলপমেন্ট করা। এগুলো করত হলে আপনাকে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন (HTML, CSS, PHP, JavaScript, jQuery, bootstrap) ইত্যাদি জানতে হবে। এসব প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখলে আপনি ওয়েব ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট এবং অ্যাপস ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট করতে পারবেন। এই কাজের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন
গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো কোন ছবিকে ডিজাইন করা। এটি শিখে আপনি লোগো, ব্যানার, পোস্টার, টি-শার্ট ডিজাইন করতে পারবেন। বর্তমানে এর চাহিদা অনেক বেশি।
ভিডিও এডিটিং
কোন ভিডিও সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য এডিট করা প্রয়োজন হয়। ভিডিও এডিটিং শিখেও আপনি অনেক ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন টিউটোরিং
কোন বিষয়ে যদি আপনার দক্ষতা থাকে তাহলে সে বিষয়ে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে টিউটর দিতে পারবেন।
এগুলো ছাড়াও আরো অনেক ধরনের কাজ আছে, যা আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে করতে পারবেন। আপনাকে সেটা খুঁজে নিতে হবে যে আপনি কোন কাজ ভালো করতে পারবেন।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট সমূহ
কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন?
আপনি বিভিন্ন উপায়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন, ইচ্ছে থাকলে কাজ শেখার অনেক উপায় খুঁজে পাওয়া যায়, যেসব উপায়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন যেগুলো হলো :
ইউটিউব
ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য সেরা উপায় হলো ইউটিউব। ইউটিউবে আপনি বিভিন্ন ধরনের টিউটোরিয়াল ভিডিও পাবেন, যেগুলো দেখে আপনি অনেক কিছুই শিখতে এবং জানতে পারবেন। অনেকেই মনে করে ইউটিউবের টিউটোরিয়ালগুলো ভালো হয় না। কিন্তু ইউটিউবেও অনেক ভালো ভিডিও আছে কাজ শেখার জন্য। আপনাকে শুধু খুঁজে পেতে হবে।
ই-লার্নিং ওয়েবসাইট
ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের ই-লার্নিং প্লাটফর্ম আছে যেগুলো থেকে আপনি ফ্রী এবং পেইড দুই ধরনেরই ভিডিও কোর্স পাবেন, যেসব ওয়েবসাইট থেকে আপনি কাজ শিখতে পারেন।
জনপ্রিয় ই-লার্নিং প্লাটফর্মগুলো হলো :
বাংলাদেশী ই-লার্নিং ওয়েবসাইট
আইটি ইনস্টিটিউট
ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনি বিভিন্ন আইটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি হতে পারেন, সেখানে ভর্তি হলে আপনি হাতে কলমে কাজ শিখতে পারবেন। এছাড়াও আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে তারা আপনাকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করবে। আমাদের দেশে দুটি জনপ্রিয় আইটি ইনস্টিটিউট হলো :Creative IT
SoftTech IT
কিওয়ার্ড রিসার্চ কি? কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন?
কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের কাজের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস হলো ফাইবার। কারণ এখানে বায়ারকে কাজের রিকোয়েস্ট পাঠাতে কোন রকম ফি দিতে হয় না, অনান্য প্লাটফর্মগুলোতে ফ্রি তে নির্দিষ্ট পরিমাণ রিকোয়েস্ট পাঠানো যায়, কিন্তু এখানে আপনি আনলিমিটেড রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারবেন। এখানে কাজের সর্বনিম্ন রেট হলো পাঁচ ডলার। এখানে যারা কাজ করে তাদের বলা হয় সেলার এবং যারা কাজ করে নেয় তাদের বলা হয় বায়ার। এখানে কাজ করতে হলে আপনার কাজসমূহকে প্যাকেজ আকারে পোস্ট করতে হবে, যেটাকে গিগ বলা হয়।
দক্ষ ও অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের কাছে পছন্দ হলো আপওয়ার্ক। এটি অনেক পুরনো ও জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস। এখানে ঘন্টা ও প্রজেক্ট ভিত্তিক কাজগুলো করতে পারবেন।
প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সারদের পছন্দ হলো কাছে ফ্রিল্যান্সার ডট কম। এখানে ঘন্টা ভিত্তিক, প্রজেক্ট ভিত্তিক এবং প্রতিযোগিতামূলক কাজ পাওয়া যায়। এখানে কাজের জন্য বিড করতে হয়, আর এই বিডের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি প্রদান করতে হয়।
এগুলো ছাড়াও আরো অনেক ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট আছে। যেমন :
এসব মার্কেটপ্লেস ছাড়াও আপনি বিভিন্ন ভাবে কাজ করতে পারবেন, বিশেষ করে স্যোশাল মিডিয়াগুলো থেকে কাজ সংগ্রহ করতে পারেন, কাজ সংগ্রহ করার জন্য জনপ্রিয় স্যোশাল মিডিয়া সাইট হলো Linkden
ব্লগ কি? কিভাবে ব্লগিং করে আয় করবেন?
নতুন অবস্থায় কিভাবে কাজ পাবেন?
ফ্রিল্যান্সিং জগতে সফলতার প্রথম ধাপটি অতিক্রম করা অনেক কঠিন, কিন্তু কোন ভাবে প্রথম ধাপটি অতিক্রম করতে পারলে বাকি ধাপগুলো আপনি খুব সহজেই অতিক্রম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং শেখার পর নতুন অবস্থায় কাজ পাওয়া অনেক কঠিন, তবে নিশ্চয়ই কাজ পাওয়া যায়, কারণ এখন যারা অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার আছেন, তারাও এক সময় নতুন ছিল। তারা নতুন অবস্থায় কাজ পেয়েছিল বলেই আজ অভিজ্ঞ হতে পেরেছে। নতুন অবস্থায় আপনাকে অভিজ্ঞদের চেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হবে কাজ পাওয়ার জন্য, এজন্য আপনাকে বেশি বেশি বায়ার রিকোয়েস্ট পাঠাতে হবে, কিন্তু যখন পুরনো হবেন তখন বায়াররাই আপনার রিভিউ দেখে আপনাকে কাজের জন্য মেসেজ দিবে।
ডাটা এন্ট্রি কি? কিভাবে ডাটা এন্ট্রি শিখে আয় করবেন?
ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে কত আয় করা যায়?
ফ্রিল্যান্সিং শিখে কত টাকা আয় করা যায় এটা কেউ বলতে পারবে না, কেউ কেউ মাসে এক টাকাও আয় করতে পারে না, আবার কেউ মাসে দশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করেন। তবে এটা বলা যায় যে , আপনার আয় নির্ভর করবে আপনার দক্ষতার উপর, আপনি আপনার কাজে যতো বেশি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন, আপনি ততো বেশি আয় করতে পারবেন।
শেষ কথা
বাংলাদেশে লক্ষাধিক ফ্রিল্যান্সার আছে, সবাই বেশ ভালো অর্থ উপার্জন করছে, তারা যদি ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারে তাহলে আপনি কেন পারবেন না, আপনিও পারবেন তবে আপনাকে ধৈর্য নিয়ে কাজে লেগে থাকতে হবে, হতাশ হলে চলবে না। ফ্রিল্যান্সিং টিপস ও ট্রিকস জানার জন্য বিভিন্ন ফোরাম ও গ্রুপে জয়েন করতে পারেন, বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য দুটি জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপ হলো সফল ফ্রিল্যান্সার এবং Fiverr Bangladesh এই গ্রুপ দুটোয় জয়েন করলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারবেন।